Skip to content →

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু Posts

বিদ্বেষ ও পরশ্রীকাতরতা: খন্ডিত বিদ্যার করুণ পরিণতি

আমি ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস লিখি না। আমার লিখার আরো ক্ষেত্র আছে। কিন্তু এটা লিখতেই হলো। যাকে নিয়ে লিখা তার সীমাবদ্ধতা ফেসবুক পর্যন্ত। বানরের হাতে ছুরি পড়লে যা হতে পারে ফেসবুক পেয়ে লোকটি তদ্রƒপ আচরণ শুরু করেছে। সৈয়দ কামরুল। এক হীনবীর্য, অসদ্ববংশজাত সারমেয় নন্দন, জীবনে কোনোভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ পরশ্রীকাতর, আত্মপ্রবঞ্চক, কবিত্বের দাবীতে আত্ম অহঙ্কারে মাটিতে তার পা পড়ে না। অন্য কেউ তাকে কবি স্বীকৃতি দিক না দিক সামাজিক মাধ্যমে নিজের কবিত্ব জাহির এবং কে তাকে ‘কবি’ খ্যাতি দিল না তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করার মধ্যে পরিতৃপ্তি লাভের চেষ্টা প্রত্যক্ষ করছি আমার কন্যা তূল্য (যাকে শুরু থেকে ‘মা’ ছাড়া কখনো সম্বোধন করি না), আমার ৩৭ বছরের পুরনো এক বন্ধুর মেয়ে বাংলাদেশের উঠতি গল্পকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক একটি গল্প লিখার কারণে তার সম্পর্কে…

Comments closed

তিন যুগ পেরিয়ে চতুর্থ যুগে পা ফেলা

কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পেরুলাম। একটি প্রেমপত্রও কেউ লিখেনি। কখনো কোন মেয়ের কাছে প্রেম ভিক্ষা করে আমিও লিখিনি। সৌন্দর্যের অনুরাগী হলেও কোন সুন্দরীকে কখনো বলিনি বা বলতে পারিনি “লাখো হাসিন হ্যায় লেকিন তুম কিউ পছন্দ হো,” অথবা আকাংখা প্রকাশ করে কাউকে বলা হয়নি “তুঝসে মুঝকো চাহনেওয়ালা ইস দুনিয়া মে কোঈ আউর হ্যায়?” ধরেই নিয়েছিলাম, “হাম হি নেহি হ্যায় পিয়ার কি কাবিল।” বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বন্ধুকে দেখতাম এক প্রেমিকা ছেড়ে আরেক প্রেমিকা ধরছে। এরই মধ্যে আমার এক বন্ধু, দূরে থাকে, তার সাথে আমার নিয়মিত পত্রালাপ হয়। একবার তার বাড়িতেও বেড়াতে গেছি। তার এক বোন আমার একটি ছবি চেয়ে চিঠি লিখলো। আমি ছবি পাঠালাম, ছবির সাথে একটি চিরকূট দিলাম, ‘ছবি চেয়েছো দিলাম, কখনো আমাকে চেয়ে বসো না।’ ক’দিন পর ছবিটি ফেরত এলো, সাথে একটি চিরকূট,…

Comments closed

প্রিয়ভাজন মাহমুদ এর “মোগলনামা” ও আমার নিবেদন

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু ফেসবুকে মাহমুদ ছেলেটার সাথে আমার পরিচয় আট ন’মাস আগে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কঠিন সাবজেক্টে পড়াশোনা করে। ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং। আমার মতো মোটা বুদ্ধির মানুষের মাথায় ঢোকার বিদ্যা নয়। ওর যে বিষয়টি আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে, তা ফেসবুকে ওর পোষ্ট। যেসব বই সে পাঠ করেছে, ওইসব বইয়ের ওপর পান্ডিত্যপূর্ণ পর্যালোচনা। বই তো অনেকেই পড়ে। জানার জন্য পড়ে, বিনোদনের জন্য পড়ে, শুধু সময় কাটানোর জন্যই পড়ে। আবার অনেক সৌখিন বই ক্রেতা ড্রয়িং রুমের শেলফে সাজিয়ে রাখার জন্যই বই কেনে। এরপর আর ছুঁয়েও দেখে না। ক্রেতা ব্যক্তিটির মৃত্যুর অল্পদিন পরই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই বইগুলো ফুটপাথের পুরনো বইয়ের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। মাহমুদ ভিন্ন ধরনের তরুণ। ওর বইয়ের আলোচনার গভীরতা আমাকে টানে। আমি মুগ্ধ-বিস্মিত হই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠিন বিষয় চর্চার পাশাপাশি…

Comments closed

শের ও শায়েরি এবং জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস এর মন্তব্য

জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস একজন আইনজীবী ও আইনের শিক্ষক। তার সাহিত্যানুরাগ আমাকে প্রীত করেছে। দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন। দীর্ঘ সময় দিল্লিতে অবস্থানের সুযোগ হয়েছে তার। কাছে থেকে সেই নগরী ও নগরবাসীদের দেখেছেন। আহা, আমার যদি সেই সুযোগ হতো! উর্দু ভাষার কয়েকজন খ্যাতিমান কবির কবিতার উর্দু উচ্চারণ এবং বাংলা অনুবাদ করে দেয়া আমার পোষ্টে বেশ কয়েকজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি এবং ক’জন বন্ধু ও অনুরাগী মন্তব্য করেছেন। অনুবাদে কিছু ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস তার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন মন্তব্যে। মন্তব্য হিসেবে দেয়ায় অধিকাংশ ফেসবুক বন্ধুর অগোচরে রয়ে যাবে ভেবে আমি তার মন্তব্যের সাথে আমার বক্তব্য জুড়ে দেয়ার সুযোগ গ্রহণ করলাম। শাসক শ্রেণীর নানারকম হাতিয়ার থাকে জনগণকে দাবিয়ে রাখার জন্য। শাসকের নিজস্ব ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা তার একটি। ইংরেজরা উপমহাদেশের শাসক হওয়ার আগে…

Comments closed

প্রবাসে ক্ষুদ্রাকারে সতীর্থ পুনর্মিলনী

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু প্রবাসে সতীর্থের মতো আপনজন আর হয় না। এমনকি আপনজনের সাথেও যা ব্যক্ত করা যায় না, সকল সতীর্থকে তা জানাতে দ্বিধাবোধ হয় না। নিউইয়র্কে আট বছর কাটানোর পর পরিচিত একজন জানতে চাইলেন, নূর মোহাম্মদ নামে কাউকে আমি চিনি কিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। অবশ্যই চিনি। দীর্ঘদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। কোথায় থাকেন জানি না। উনি বললেন, আমরা সহকর্মী। একই স্কুলে শিক্ষকতা করি। একদিন স্কুল শেষে উনার সাথে আমার অফিসে আসলেন নূর মোহাম্মদ। কাছেই তার বাসা। কাজেই সিটির উজান ভাটিতে যেতে হয়নি। দীর্ঘ আটত্রিশ বছর পর দেখা। টিপটপ থাকতেন। চোখে অধিকাংশ সময় কালো চশমা পরতেন। তার কাছ থেকেই খোঁজ পেলাম, আমাদের ক্লাসের আর কে আমেরিকার কোথায় আছে। দুই সহপাঠি মুশতাক ও লীরা (দম্পতি) নিউ জার্সি থাকে ঢাকা থেকেই জানতাম।…

Comments closed

পদ্মা সেতু ও কল্পনার মাথা

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বলা যায়, সিংহভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯২টির কাজ শেষ; ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩০টি ইতোমধ্যে সম্পন্ন। ১৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে। গত ৩০শে জুন পর্যন্ত সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮১ শতাংশ। সেতু নির্মাণের যখন এই পর্যায়ে তখন একটি দুষ্ট চক্র কী কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদ্মা সেতু নিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চারের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল তা আমার বোধগম্যতার বাইরে। এ ধরনের কল্পকাহিনি ছড়ানো নতুন কোনো ঘটনা নয়। এখনো আমার স্মরণ আছে; আমি অনেক ছোট। সবেমাত্র স্কুলে যেতে শুরু করেছি। আমাদের বাড়ি থেকে দুই মাইল দূরে, পূর্বদিকে একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কাটাখালি ব্রিজ। আমাদের গ্রামের পাশ ঘেঁষে যাওয়া খালটি নির্মাণাধীন ওই ব্রিজের পরই মিলিত হয়েছে বড় একটি…

Comments closed

কাশ্মীর, ইমরান খানের ভাষণ এবং আমার স্মৃতি

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত ২৭শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অথিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। বিশ্ব সংস্থায় এটি তাঁর প্রথম ভাষণা হলেও তা ছিল আবেগ ও স্বস্ফূর্ততায় পূর্ণ। গত ৫ই আগষ্ট ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কাশ্মীরিদের সাথে তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং জাতিসংঘ গত সাত দশকে গৃহীত এগারটি প্রস্তাবে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরিদের ভাগ্য নির্ধারণের পক্ষে বললেও তা বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ না নেয়ার কারণে ভারতের পক্ষে কাশ্মীরিদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ করা হয়েছে বলে তিনি তার ভাষণে উল্লেখ করেন। কাশ্মীর ছাড়াও তাঁর পঞ্চাশ মিনিটের ভাষণে স্থান পেয়েছে পাশ্চাত্যে ‘ইসলামোফোবিয়া’র বিস্তৃতি। প্রতিটি বিষয়ে তার বক্তব্য এতো প্রাঞ্জল, শক্তিশালী ও মর্মস্পশী ছিল যে, উপমহাদেশ, মুসলিম বিশ্ব ছাড়িয়ে পাশ্চাত্যের মিডিয়াতেও তাঁর ভাষণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। ইমরান খানের ভাষণ…

Comments closed

শতবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ৭৪টি নরবলি

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু গতকাল ১ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ১০০ বছরে পড়েছে। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তণ ছাত্ররা শতবর্ষ উল্লেখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের লগো ও নিজের ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের স্মৃতিচারণসহ নানা প্রসঙ্গের অবতারণা করছেন। উচ্ছাস প্রকাশ করছেন। পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে অন্যান্যের মতো আমিও গর্বিত। আমার দু:খবোধও প্রচণ্ড। আমার পড়াশোনার জন্য ভর্তুকি দিয়েছে জনগণ, তাদের প্রতি আমার দায় পরিশোধ করতে না পারার দু:খ। আমাদের নিজেদের খরচ কত ছিল? যৎসামান্য। মাসিক বেতন ১০ (দশ) টাকা, হলে সিট ভাড়া ৫ (পাঁচ) টাকা প্রতিবেলা খাওয়ার জন্য দুই টাকা। এর বাইরে সামান্য কিছু পরীক্ষা ফি দিতে হয়েছে সাবসিডিয়ারী, অনার্স ও মাষ্টার্স পরীক্ষার আগে। তাই দিতে আমার অভিভাবক গলদঘর্ম। আমি তো তাদের একা নই। আরো ভাইবোন আছে আমার। ঢাকা…

Comments closed

করোনাকালে অযত্নে বর্ধিত দাড়ি ও গোঁফ

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে নিউইয়র্কে ইতোমধ্যে মৃতদের মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশীও আছেন। আমার এক সময়ের সহকর্মী ফটো সাংবাদিক স্বপন হাই, ঘনিষ্টজন কামাল আহমেদ, আজাদ বাকির, আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন, এবং আরো কয়েকজন পরিচিতজন সহ শতাধিক প্রবাসী (সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে) বাংলাদেশী মৃত্যুবরণ করেছেন। ঘনিষ্ট ও পরিচিতদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ও নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছে আরো বেশি সংখ্যক। নিউইয়র্কে করোনার বিস্তৃতি আশঙ্কাজনক। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ, এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ষ্টেট থেকে অনেক বন্ধু ও আপনজন ফোন করে নিশ্চিত হয়েছেন, এখনো বেঁচে আছি। তবুও উর্দু কবির কবিতার অংশ থেকে বলতে হয়;“মত পুছ মেরে দোস্ত মেরা হাল ক্যায়সা হ্যায়তানহা তানহা হো গ্যয়া হুঁ ইস মায়াবী সংসার মে,কৌঈ নেহি সাথ খাড়া ইস জিন্দেগি কে ময়দান মেলগী হ্যায় পিয়াস জিয়াদা, ঢুণ্ড রহা হুঁ…

Comments closed

করোনার বিপদ, কিয়ামত ও বেহেশতের ভাবনা

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বে ইতোমধ্যে ষাট হাজারের অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দশ লক্ষ ছাড়িয়েছে এবং প্রতিদিন মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা অনিয়ন্ত্রিত হারে বেড়ে চলায় করোনা-ভাইরাসজনি মহামারী বিশ্বজুড়ে মানুষের মনে অভাবনীয় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে দেশে দেশে সরকারগুলো কর্মব্যস্ত নগরী, শহর-বন্দরে লকডাউন ঘোষণা করায় বিশ্বের বড়বড় নগরীগুলো এখন দিন ও রাতের বেলায় প্রেতপুরীতে পরিণত হয়েছে। এই বিপদ শুধু মৃত্যুর বিপদ নয়। বিশ্ববাসীর ওপর স্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব পড়ার, বিশ্ব অর্থনীতি ধসে পড়ার, দরিদ্র দেশগুলোর আরও দরিদ্র হওয়ার, নজীরবিহীন বেকারত্বের কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা পারিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করোর মহাবিপদ ডেকে এনেছে এই ঘাতক ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিবারিক ও সামাজিক সূত্রগুলোকে পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ভাইরাস সংক্রমিত রোগী দেখলে…

Comments closed