Skip to content →

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু Posts

কবিতা: মৃত্যু আসলে কিছুই নয়

হেনরি স্কট হল্যান্ড (১৮৪৭-১৯১৮)অনুবাদ: আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু মৃত্যু তো আসলে কিছুই নয়।আমলে নেয়ার মত কিছু নয়,আমি শুধু আমার পাশের কক্ষে যাবো।যেন কোনো কিছু ঘটেনি।সবকিছু যেমন ছিল তেমনই থাকবে।আমি আমিই থাকব এবং তুমি তু্মিই,একসাথে এত যত্নে পুরনো যে জীবনেআমরা অক্ষত অপরিবর্তিত ছিলাম,একে অন্যের সাথে যেমনই থাকি না কেন,মৃত্যুতেও আমরা ঠিক তেমনই থাকব।আমাকে আগের সেই পরিচিত নামেই ডেকোতুমি সবসময় যেভাবে বলতে অভ্যস্তআমার কথা তেমন সহজভাবেই বলো।তোমার কথার সুরে কোনো পরিবর্তন এনো না।গাম্ভীর্য বা দু:খের আরোপিত ভাব ধারণ করো না।এমনকি ছোট্ট রসিকতায় আমরা সবসময় একত্রেযেভাবে হাসতাম এখনও ঠিক সেভাবেই হাসো।খেলো, হাসো, আমার কথা ভাবো, আমার জন্য প্রার্থনা করো।আমার নাম চিরদিন পরিচিত ঘরোয়া শব্দ হয়ে থাকুক.যে শব্দটি আগে যেমন সবসময় উচ্চারিত হয়েছে।বাড়তি কোনো চেষ্টা ছাড়াই সে নাম উচ্চারিত হোক,যাতে এর ওপর কোনো কিছুর ছায়া…

Leave a Comment

শামস তাবরিজীর কথা

আমরা পান করছিলাম এবং সেখানে ছিল পানপাত্র, সোরাহি, সুরাপূর্ণ কলসি এবং অন্যান্য পাত্র। পানীয় পরিবেশনকারিনী সাকি অসহায় হয়ে পড়েছে। সাকি সকলকে অসহায় করে ফেলেছে, কিন্তু সাকিকে একজন সুরাসক্ত একটু বেশিই দুর্বল করেছে। লোকজন সবসময় বলে যে সুরা মানুষকে উন্মত্ত ও বিকল করে দেয় দশ পাত্র পান করার পর না হলে বারো পাত্র, এমনকি তুমি যদি পুরো সোরাহি শেষ করে ফেল তবুও তুমি উন্মত্ত হবে না। সুরা বিক্রেতা বলে, “পানশালা যদি সুরা শূন্য হয়ে যায়, নগরীতে আরও পানশালা আছে।” ঠিক এ কথাটিই আমি বলছি। কে পারে পুরো সুরা পূর্ণ বড় একটি সোরাহি নিঃশেষ করে ফেলতে? একশ জনের পক্ষেও তা পান করে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু যে ব্যক্তি অতিরিক্ত সুরা পানে মাতাল হয়ে পড়ে পৃথিবীতে কখনো এমন কোনো ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন…

Leave a Comment

সাক্ষাৎকার: বাংলাদেশের বিজয় ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের সেরা অর্জন

অ্যাম্বরিশ কাথেওয়াড় দিওয়ানজিঅনুবাদ: আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু [ভারতের সাহিত্য ও সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র পরলোকগত খুশবন্ত সিং-এর মতে, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের সেরা মুহূর্ত এবং সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত করায় সহায়তা করা। যেভাবে তিনি বাংলাদেশ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন তা নজিরবিহীন, যখন তাঁর সব দক্ষতা একসঙ্গে জড়ো হয়েছিল। তিনি পাকিস্তানকে পুরোপুরি আহাম্মকে পরিণত করেছিলেন। শরণার্থী সমস্যা যখন চরমে পৌঁছে তখন তিনি তাঁর বিচক্ষণতার প্রমাণ দেন। পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে জেনারেল ইয়াহিয়া খান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এ অসামান্য বিজয়ে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে ‘ভারত রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। খুশবন্ত সিং ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে যেমন নিবিড়ভাবে মিশেছেন ভারতের খুব কম সংখ্যক সাংবাদিকের পক্ষে তা সম্ভব হয়েছে। অধুনালুপ্ত…

Leave a Comment