Skip to content →

কবিতা: একটি মশা

https://youtu.be/OBvH7m-Iq9A
(হিন্দি মুভি “যশোবন্ত” (১৯৯৭) এ নানা পাটেকরের আবৃত্তি)

সুরুর লক্ষ্মেীভি (১৯০০-১৯৭৪)
অনুবাদ : আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

শালা একটি মশা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়,
পুরো রাতকে পঙ্গু করে দিতে পারে একটি ছারপোকা,
একটি মশা শালা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়
আমার কাছে এসো না, আমাকে একা থাকতে দাও,
আমার যুদ্ধ আমাকেই লড়তে দাও,
কোনো এক দিন সত্য চেপে ধরবে মিথ্যার গলা,
কিন্তু শালা একটি মশা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়।
মানুষের ভিড়ের অংশ হতে তুমি সকালে বাড়ি ছেড়ে যাও,
সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে মদ পান করো, বাচ্চার জন্ম দাও,
এরপর সকাল হওয়া পর্যন্ত আবারও মরে যাও,
কারণ আত্মা ও ভেতরের মানুষ মরে গেছে
বেঁচে থাকার জন্য ঘৃণ্য সমঝোতা করতে হয়,
একটি মশা শালা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়।
দোকান বড় হলেও দোকানের জিনিসগুলো বাজে
পরনে খদ্দরের লেংটি, অথচ পিকদানি রূপার,
একশ’ জনের মধ্যে আশি জনই বেইমান
তবুও আমার দেশ মহান।
মাথায় টুপি পরে মশা বলে,
দেশবাসীর মাঝে সাম্যের চেতনা জেগেছে,
ছোট মাছগুলোকে গিলে ফেলছে বড় মাছ,
আমাদের কুকুর আমাদেরই কামড় দিচ্ছে,
আমাদের ভাগের হাড্ডি নিজেরা ভাগ করে নিচ্ছে,
নগ্ন রাস্তা পর্যন্ত কাঁপে ওদের নোংরা জান্তব শব্দে,
দম নিতে হাঁপায় গতকাল জন্ম নেয়া শিশুরা,
শয়তানের জারজ সন্তানেরা কেমন মাতামাতি করছে,
আর আমরা পশুর মত ভালোবাসছি মানব ইশ্বরকে,
জীবনকে আমরা পরিণত করেছি অভিশাপে,
কী করার আছে আমাদের!
শালা একটি মশা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়।
শালারা, তোমরা চাইলে পতিত হও, পড়তেই যদি হয়
ঝরণার মত পর্বতের ওপর থেকে পতিত হও,
পতিত হলেও পতনের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলো না,
মাটিতে পড়েও নিজের অস্তিত্ব বিলীন হতে দিয়ো না,
কিন্তু কার আছে এতকিছু ভাবার সময়?
কারণ শালা একটি মশা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়।
মন্দির, মসজিদের যুদ্ধে মরে গেছে লাখো মানুষ,
ধর্ম ও জাতের নামে হাজার হাজার মানুষ মরেছে
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বালীকে হত্যা করেছে,
রাবণকে পৌঁছে দিয়েছে মৃত্যুর দরজায়,
পাপের চেয়ে যে অনেক বেশি পূন্য করেছে
আমি সেই রামের সন্ধান করছি,
কিন্তু মনে হয়, এই যুগের রামের বনবাস আজীবনের
কী করার আছে আমাদের!
কারণ শালা একটি মশা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়।
একটি মশা, একটি মাত্র মশা,
যার ঘরবাড়ি নোংরা কাদায়,
যে বাস করে দুর্গন্ধময় নর্দমায়,
হ্যাঁ, এটাই তো মশার বড় পরিচয়
সে তোমারও নয় আমারও নয়।
মশা তোমাকে হিজড়া বানিয়ে দেবে,
সত্যিই হিজড়া বানিয়ে ছাড়বে,
কখনো শয়তান এসে হাজির হবে
আমার দরজার কড়া নাড়বে,
আমার মনকে তন্ন তন্ন করে খুঁজবে,
এরপর আমাকে আগুনের পোড়াবে,
কিন্তু আমি তখন ভয় করব না,
দেহকে বানাবো ঢাল, হাতকে তরবারি
কোনো একদিন তো তুমি আমার হাত চুম্বন করবে
যত পারো এখন আমার বদনাম করো, নিলামে ওঠাও,
নিলামে ওঠানোর মত আমার কী আছে?
জ্বলন্ত অশ্রুর উপলব্ধি ছাড়া কিছুই তো নেই।
ঠিক আছে, আমি তোমার ওপর প্রতিশোধ নেব,
তোমার শেষ সময়ে,
আমার দুটি নি:শ্বাসের মাঝের স্পন্দন
তোমাকে বিনামূল্যে দেব,
কারণ, শালা একটি মশা তোমাকে হিজড়া বানিয়েছে।

এক মচ্ছর

সুরুর লক্ষ্মৌভি (১৯০০-১৯৭৪)

এক মচ্ছর সালা আদমি কো হিজড়া বানা দেতা হ্যায়,
এক খটমল পুরি রাত কো আপাহিজ কর দেতা হ্যায়,
এক মচ্ছর সালা আদমি কো হিজড়া বানা দেতা হ্যাায়
মাত আও মেরে পাস রাহনে দো মুঝে একেলা
লড়নে দো মুছে আপনি লড়াই
কভি না কভি তো ঝুট কা গলা ঘোটেগি সাচ্চাই,
লেকিন এক সালা মচ্ছর আদমি কো হিজড়া বানা দেতা হ্যায়।
সুবা ঘর সে নিকলো, ভিড় কা হিসসা বনো,
শাম কো ঘর যাও, দারু পিয়ো, বাচ্চা পয়দা করো,
আউর সুবা তলক ফির এক বার মর যাও
কিউকি আত্মা আর আন্দার কা ইনসান মর চুকা হ্যায়।
জিনে কি ঘিনোনে সমঝোতে কর চুকা হ্যায়,
সালা এক মচ্ছর আদমি কো হিজড়া বানা দেতা হ্যায়।
উঁচি দুকান ফিকা পাকওয়ান, খদ্দর কা লেঙ্গুটি
চান্দি কা পিকদান, সউ মে আসসি বেইমান
ফির ভি মেরা দেশ মহান।
টোপি লাগায়ে মচ্ছর ক্যাহতা হ্যায়,
দেশ কে লোগো মে সমতা কি ভাওনা আ রাহি হ্যায়,
ইসলিয়ে তো বড়ি মছলি ছোটি মছলি কো খা রাহি হ্যায়
হামারে চুনে হুুয়ে কুত্তে হামে হি কাটতে হ্যায়,
হামারে হিসসে কি বোটিয়া আপস মে বাটতে হ্যায়,
আমান গান্দ সে ভরি ইনকি আওয়াজ সে নাঙ্গে রাস্তে কাঁপতে হ্যায়,
কাল পয়সা হুয়ে বাচ্চে, এক সাঁস লেতে হুয়ে হাপতে হ্যায়
শয়তানো কি নাজায়েজ আওলাদ তেহেলকা মাচা রাহি হ্যায়,
আউর হাম হাম ভগওয়ান কে চাহেতে জানওয়ার ইনসান
জিন্দেগি কো গালি বানায়ে বৈঠে হ্যায়, ক্যায়া করে
সালা, এক মচ্ছর আদমি কো হিজড়া বানা দেতা হ্যায়।
গিরো সালো, গিরো, গিরো
লেকিন গিরো তো উস ঝরনে কি তরহা
জো পর্বত কী উঁচাই সে গির কে ভি
আপনি সুন্দরতা খোনে নাহি দেতা,
জমিন কি তাহ সে মিলকে ভি আপনে অস্তিত্ব কো মিটনে নাহি দেতা,
লেকিন ইতনা সোচনে কে লিয়ে ওয়াক্ত হ্যায় কিসকে পাস,
কিউকি সালা এক মচ্ছর আদমি কো হিজড়া বানা দেতা হ্যায়।
মন্দির, মসজিদ কি লড়াই মে মর গ্যায়ে লাখো ইনসান,
ধরম আউর মাজহার কে নাম পর হো গ্যায়ে হাজারো কুরবান,
জিস নে অন্যায় কে বিরোধ মে বালী কো মারা
রাবন কো মউত কে ঘাট উতারা,
পুন্য কো পাপ সে উভারা, মুঝে উস রাম কি তালাশ হ্যায় মাগার
লাগতা হ্যায় ইস য়োগ কে রাম কো আজীবন বনবাস হ্যায়,
ক্যায়া কারে,
কিউকি সালা এক মচ্ছর আদমি কো হিজড়া বানা দেতা হ্যায়।
ইয়ে মচ্ছর, ইয়ে মচ্ছর, জিসকা কিচড়ো মে ঘর হ্যায়,
নালিয়ো মে বাসেরা হ্যায়,
ইসকি পেহচান ইয়ে হ্যায় কে ইয়ে না তেরা হ্যায়, না মেরা হ্যায়,
ইয়ে মচ্ছর হিজড়া বানা দেগা, হিজড়া বানা দেগা,
কভি শয়তান আয়েঙ্গে, মেরে দরওয়াজা পর দস্তক দেঙ্গে,
জান কি তালাশ লেঙ্গে, ফির জ্বল ওঠেঙ্গে,
উস ওয়াক্ত ম্যায় ডরুঙ্গা নাহি,
আপনে শরীর কো ঢাল, হাত কো তলওয়ার বানাউঙ্গা,
এক না এক দিন তো তুম মেরা হাত চুমেঙ্গে,
ক্যারো, আজ মুঝে বদনাম কারো, নিলাম কারো,
নিলামী কে লিয়ে ক্যায়া হ্যায় মেরে পাস,
বাস, জ্বলতে হুয়ে আঁসুয়ো কা এহসাস
মানা, মাগার ম্যায় তুমসে বদলা লুঙ্গা, তুমহারি আখিরি বোলি পর,
মেরে দো সাঁসো কে বিচ কা ঠাহরাও তুমহে ফুকট মে দুঙ্গা,
কিউকি সালো, এক মচ্ছর নে তুমহে হিজড়া বানা দিয়া হ্যায়।

Published in কবিতা

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *