Skip to content →

Category: কবিতা

কবিতা: একটি মশা

সুরুর লক্ষ্মেীভি (১৯০০-১৯৭৪)অনুবাদ : আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু শালা একটি মশা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়,পুরো রাতকে পঙ্গু করে দিতে পারে একটি ছারপোকা,একটি মশা শালা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়আমার কাছে এসো না, আমাকে একা থাকতে দাও,আমার যুদ্ধ আমাকেই লড়তে দাও,কোনো এক দিন সত্য চেপে ধরবে মিথ্যার গলা,কিন্তু শালা একটি মশা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়।মানুষের ভিড়ের অংশ হতে তুমি সকালে বাড়ি ছেড়ে যাও,সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে মদ পান করো, বাচ্চার জন্ম দাও,এরপর সকাল হওয়া পর্যন্ত আবারও মরে যাও,কারণ আত্মা ও ভেতরের মানুষ মরে গেছেবেঁচে থাকার জন্য ঘৃণ্য সমঝোতা করতে হয়,একটি মশা শালা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দেয়।দোকান বড় হলেও দোকানের জিনিসগুলো বাজেপরনে খদ্দরের লেংটি, অথচ পিকদানি রূপার,একশ’ জনের মধ্যে আশি জনই বেইমানতবুও আমার দেশ মহান।মাথায় টুপি পরে মশা বলে,দেশবাসীর মাঝে সাম্যের চেতনা জেগেছে,ছোট মাছগুলোকে গিলে…

Leave a Comment

কবিতা: আমিই সেই একজন

জালালুদ্দীন রুমীঅনুবাদ: আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু আবার বাধা পড়েছে আমার উন্মাদ হৃদয়,হৃদয় সম্পর্কে যার ধারণা নেই এবং বোঝে নাহৃদয়ের টান, সেই তো প্রকৃত উন্মাদ।আমি মাটি বা আকাশ থেকে আসিনি,অথবা আগুন বা পানি থেকেও নয়।আমি সেই একজনে পরিণত হয়েছিযার নামে সবাই শপথ উচ্চারণ করে।চাঁদের কাছে আমি হয়েছি ঈসা,আমি ওপরে উঠে আকাশ প্রদক্ষিণ করি।আমি মাতাল মুসা।তালি দেওয়া জোব্বায় স্বয়ং আল্লাহর বসবাস।আমি উন্মাদ, পাগল, অস্থির মনের মাতাল!আমি উপদেশ শুনি না, আমি বন্দি থাকার যোগ্য।আমি তো পানশালার বহির্ভাগ।আমাকে কেন সুফি বলা হবে?কে ভাবে যে শুধু একটি গ্লাসই যথেষ্ট?এক গ্লাস পান করে কে তৃপ্ত হতে পারে?আমি মাতালের মতো পড়ে যাই এবং উঠি,গোলকের মতো চত্বরে গড়িয়ে যাই।আমি সম্পূর্ণ নিমজ্জিত, সমুদ্র আমাকে টেনে নিচ্ছে।আমি শুধু এক ফোঁটা পানি হবো কেন?আমার হৃদয় ও আত্মা জীবন্ত হয়ে উঠেছে!আমি মৃতের মতো…

Leave a Comment

কবিতা: মৃত্যু আসলে কিছুই নয়

হেনরি স্কট হল্যান্ড (১৮৪৭-১৯১৮)অনুবাদ: আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু মৃত্যু তো আসলে কিছুই নয়।আমলে নেয়ার মত কিছু নয়,আমি শুধু আমার পাশের কক্ষে যাবো।যেন কোনো কিছু ঘটেনি।সবকিছু যেমন ছিল তেমনই থাকবে।আমি আমিই থাকব এবং তুমি তু্মিই,একসাথে এত যত্নে পুরনো যে জীবনেআমরা অক্ষত অপরিবর্তিত ছিলাম,একে অন্যের সাথে যেমনই থাকি না কেন,মৃত্যুতেও আমরা ঠিক তেমনই থাকব।আমাকে আগের সেই পরিচিত নামেই ডেকোতুমি সবসময় যেভাবে বলতে অভ্যস্তআমার কথা তেমন সহজভাবেই বলো।তোমার কথার সুরে কোনো পরিবর্তন এনো না।গাম্ভীর্য বা দু:খের আরোপিত ভাব ধারণ করো না।এমনকি ছোট্ট রসিকতায় আমরা সবসময় একত্রেযেভাবে হাসতাম এখনও ঠিক সেভাবেই হাসো।খেলো, হাসো, আমার কথা ভাবো, আমার জন্য প্রার্থনা করো।আমার নাম চিরদিন পরিচিত ঘরোয়া শব্দ হয়ে থাকুক.যে শব্দটি আগে যেমন সবসময় উচ্চারিত হয়েছে।বাড়তি কোনো চেষ্টা ছাড়াই সে নাম উচ্চারিত হোক,যাতে এর ওপর কোনো কিছুর ছায়া…

Leave a Comment