জালালুদ্দীন রুমী
অনুবাদ: আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
আবার বাধা পড়েছে আমার উন্মাদ হৃদয়,
হৃদয় সম্পর্কে যার ধারণা নেই এবং বোঝে না
হৃদয়ের টান, সেই তো প্রকৃত উন্মাদ।
আমি মাটি বা আকাশ থেকে আসিনি,
অথবা আগুন বা পানি থেকেও নয়।
আমি সেই একজনে পরিণত হয়েছি
যার নামে সবাই শপথ উচ্চারণ করে।
চাঁদের কাছে আমি হয়েছি ঈসা,
আমি ওপরে উঠে আকাশ প্রদক্ষিণ করি।
আমি মাতাল মুসা।
তালি দেওয়া জোব্বায় স্বয়ং আল্লাহর বসবাস।
আমি উন্মাদ, পাগল, অস্থির মনের মাতাল!
আমি উপদেশ শুনি না, আমি বন্দি থাকার যোগ্য।
আমি তো পানশালার বহির্ভাগ।
আমাকে কেন সুফি বলা হবে?
কে ভাবে যে শুধু একটি গ্লাসই যথেষ্ট?
এক গ্লাস পান করে কে তৃপ্ত হতে পারে?
আমি মাতালের মতো পড়ে যাই এবং উঠি,
গোলকের মতো চত্বরে গড়িয়ে যাই।
আমি সম্পূর্ণ নিমজ্জিত, সমুদ্র আমাকে টেনে নিচ্ছে।
আমি শুধু এক ফোঁটা পানি হবো কেন?
আমার হৃদয় ও আত্মা জীবন্ত হয়ে উঠেছে!
আমি মৃতের মতো আচরণ করব কেন?
যখন মুহম্মদ আমাকে মাতাল দেখেন,
আমার মুখ বিবর্ণ হয়ে যায়,
তিনি আমার চোখে চুম্বন করেন,
আমি তাঁর সামনে অবনত হই।
আমি বর্তমানের মুহম্মদ,
অতীতের মুহম্মদ নই।
আমি এই সময়ের রূপকথার পাখি,
কোনো ছোট ক্ষুধার্ত পাখি নই।
আমি আজকের সুলতান, গতকালের মানুষ নই।
ঘুম থেকে জাগো
হে জনমণ্ডলী,
কিরামান-কাতিবিন যে গ্রন্থ রচনা করেছেন
তা বিবর্ণ, ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
ঘুম থেকে ওঠো, কাজে যাও…
Comments