Skip to content →

সক্রেটিসের কিছু বাণী

অনুবাদ: আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

  • যে কোনো উপায়ে বিয়ে করো; তুমি যদি ভালো একজন স্ত্রী পাও, তাহলে তুমি সুখী হবে; আর তুমি যদি মন্দ স্ত্রী পাও, তাহলে তুমি দার্শনিক হবে।
  • ছোটরাও এখন বিলাসিতা ভালোবাসে; তাদের আচরণ মার্জিত নয়, কর্তৃত্বকে অবজ্ঞা করে; বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি তারা অশ্রদ্ধা পোষণ করে এবং ব্যায়াম করার পরিবর্তে কথা বলতে ভালোবাসে। ছোটরা এখন স্বৈরাচারী, তারা তাদের বাড়ির ভৃত্য নয়। বয়োজ্যেষ্ঠরা কক্ষে প্রবেশ করলে তারা আর উঠে দাঁড়ায় না। বাবা-মা’র সাথে তারা বিতর্কে লিপ্ত হয়, বহুলোকের সামনে গলা বাড়িয়ে দেয় কথা বলার জন্য, গোগ্রাসে খাবার খায়, পা আড়াআড়ি করে বসে এবং ওদের শিক্ষকদের সন্ত্রস্ত করে রাখে। অনেক সময় তুমি প্রাচীর গড়ে তোলো, কিন্তু তা লোকজনকে বাইরে রাখার জন্য নয়, বরং কে প্রাচীর ভেঙে তোমার কাছে আসতে ব্যগ্র তা দেখার জন্যে।
  • কোনো প্রশ্ন বুঝতে পারাই অর্ধেক উত্তর। ইর্ষা হচ্ছে আত্মার আন্ত্রিক ক্ষত।
  • উত্তপ্ত প্রেমের শীতলতম পরিসমাপ্তি ঘটে।
  • জীবন দুটি ট্যাজেডি ধারণ করে। একটি হচ্ছে তোমার হৃদয়ের আকাঙ্খা পূরণ না হওয়া, অপরটি হচ্ছে, সেই আকাঙ্খা পূরণ হওয়া।
  • কেউ যখন তর্কে হেরে যায় তখন গালিগালাজ তার অস্ত্রে পরিণত হয়। নিজেকে জানো।
  • তুমি কিছু জানো না তা এতোটুকু জানাই সত্যিকার জ্ঞান |
  • অপরীক্ষিত জীবন বচে থাকার অর্থবহ জীবন নয়|
  • ভালো একটিই, তা হলো জ্ঞান এবং মন্দও একটি, আর তা হলো অজ্ঞতা|
  • আমি কাউকে কিছু শেখাতে পারি না. আমি শুধু কাউকে ভাবতে দেয়ায় সাহায্য করতে পারি।
  • সদয় হও, কারণ যার সাথে তোমার সাক্ষাত হবে তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে তোমার প্রবল যুদ্ধ হবে।
  • গড় মানুষের মন আলোচনা করে ঘটনার ওপর, দুর্বল মন কথা বলে মানুষ নিয়ে।
  • নিজেকে পেতে হলে নিজের জন্যই ভাবো।
  • কারো যা আছে তাতে যদি সে পরিতৃপ্ত না হতে পারে, তাহলে সে যা পেতে চায়, তাতেও পুরতৃপ্ত হতে পারবে না।
  • বন্ধু হওয়ার জন্য মন্থর হও, যদি বন্ধুত্ব হয়ে যায়, তাহলে বন্ধুত্বকে দৃঢ়তার বন্ধনে বাঁধো ও অক্ষুন্ন রাখে।
  • তুমি যা চাও তা না পেলে তুমি বেদনার্ত হও, তুমি; আর যা তুমি চাও না তা পেলেও তুমি দু:খ পাও; এমনকি তুমি ঠিক যা চাও, তা পেলেও তুমি কষ্টবোধ করো, কারণ তুমি যা পেলে তা চিরদিনের জন্য ধারণ করে রাখতে পারো না। তোমার মনই তোমার দুর্ভাগ্য। এই মন পরিবর্তন থেকে মুক্তি চায়, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চায়, জীবন ও মৃত্যুর বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পেতে চায়। কিন্তু পরিবর্তনই আইন এবং কোনো ধরনের ভান বাস্তবতাকে বদলাতে পারে না।
  • কেউ যখন তর্কে হেরে যায় তখন গালিগালাজ তার অস্ত্রে পরিণত হয়। নিজেকে জানো।
  • সদয় হও, কারণ যার সাথে তোমার সাক্ষাত হবে তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে তোমার প্রবল যুদ্ধ হবে।
  • শক্তিশালী মন ধ্যানধারণা নিয়ে আলোচনা, গড় মানুষের মন আলোচনা করে ঘটনার ওপর, দুর্বল মন কথা বলে মানুষ নিয়ে।
  • নিজেকে পেতে হলে নিজের জন্যই ভাবো।
  • শিক্ষা হচ্ছে অগ্নিশিখার ইন্ধন, কোনো জাহাজের ভর নয়।
  • কারো যা আছে তাতে যদি সে পরিতৃপ্ত না হতে পারে, তাহলে সে যা পেতে চায়, তাতেও পুরতৃপ্ত হতে পারবে না।
    বন্ধু হওয়ার জন্য মন্থর হও, যদি বন্ধুত্ব হয়ে যায়, তাহলে বন্ধুত্বকে দৃঢ়তার বন্ধনে বাঁধো ও অক্ষুন্ন রাখে। তুমি যা চাও তা না পেলে তুমি বেদনার্ত হও, তুমি; আর যা তুমি চাও না তা পেলেও তুমি দু:খ পাও; এমনকি তুমি ঠিক যা চাও, তা পেলেও তুমি কষ্টবোধ করো, কারণ তুমি যা পেলে তা চিরদিনের জন্য ধারণ করে রাখতে পারো না। তোমার মনই তোমার দুর্ভাগ্য। এই মন পরিবর্তন থেকে মুক্তি চায়, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চায়, জীবন ও মৃত্যুর বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পেতে চায়। কিন্তু পরিবর্তনই আইন এবং কোনো ধরনের ভান বাস্তবতাকে বদলাতে পারে না।
  • শারীরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো মানুষেরই সৌখিন হওয়ার অধিকার নেই। কোনো ব্যক্তি যদি তার দেহের সৌন্দর্য এবং সে দেহ কী করতে সক্ষম তা না দেখেই বড় হয়, তা হলে সেটি তার জন্যে লজ্জার।
  • সুখের গোপনীয়তা আরো বেশি চাওয়ার মধ্যে নয়, বরং স্বল্প পরিমাণে উপভোগের সামর্থ অর্জনের মধ্যে। যে পৃথিবীকে নাড়াবে প্রথমে তাকে নড়াচড়া করতে দাও।
  • মৃত্যুই হয়তো মানুষের সবচেয়ে বড় আশির্বাদ।
    *পরিতৃপ্তি হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ, আর বিলাসিতা কৃত্রিম দারিদ্র।
  • জ্ঞানই একমাত্র উত্তম এবং একমাত্র অশুভ হচ্ছে অজ্ঞতা।
    *অন্যদের লেখার মাধ্যমে নিজেকে উন্নত করতে তোমার সময়কে কাজে লাগাও, যাতে যে কাজে অন্যদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তা তুমি অনায়াসে করতে পারো।
  • কেউ তোমার ক্ষেত্রে যদি এমন কিছু করে থাকে যা তোমাকে ক্রুদ্ধ করেছে, তা তুমি অন্যের ক্ষেত্রে করো না।
  • আমি এথেন্সবাসী বা গ্রীক নই, কিন্তু আমি বিশ্বের নাগরিক।
  • বিদায়ের সময় এসে গেছে, এবং আমরা আমাদের ভিন্ন ভিন্ন পথে যাবো। আমি মৃত্যুবরণ করবো এবং তুমি জীবিত থাকবে। এর দুটির মধ্যে কোনটি উত্তম তা ইশ্বরই ভালো জানেন।
  • সম্পদের চেয়ে জ্ঞানের প্রাধান্য দাও। কারণ একটি সাময়িক, আরেকটি চিরস্থায়ী।
    *আমরা ভালো হওয়ার আশা পোষণ করার চেয়ে ভালোভাবে বাস করতে পারি না।
  • যে শিশু অন্ধকারকে ভয় পায়, আমরা সহজে তাকে ক্ষমা করতে পারি; জীবনের সবচেয়ে দু:খজনক ঘটনা হলো মানুষ যখন আলোতে ভীত হয়। ব্যস্ত জীবনের শূন্যতার ব্যাপরে সতর্ক হও।
  • আমি জানি, আমি বুদ্ধিমান, কারণ আমি জানি যে, আমি কিছুই জানি না।
  • তুমি নিজেকে যেভাবে অনুভব করো, তেমন হও।
  • বেঁচে থাকার জন্য খাও, খাওয়ার জন্য বেঁচে থেকো না |
  • এ পৃথিবীতে মর্যাদা নিয়ে থাকার সবচেয়ে বড় উপায় হলো আমরা যেভাবে থাকার ভান করি সেভাবে থাকা।
  • গভীর আকাঙক্ষার পরিণতি হিসেবে প্রায়শ আসে মারত্মক ধরনের ঘৃণা।
  • যাদের সঙ্গে তোমার সাক্ষাত হয় তাদের প্রতি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সদাশীল হও। প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত।
  • আমাদের প্রত্যেকের মাঝে সত্যিকার জ্ঞান তখনই আসে যখন আমরা উপলব্ধি করি যে জীবন সম্পর্কে, আমাদের নিজেদের সম্পর্কে এবং আমাদের চারপাশের পৃথিবী সম্পর্কে আমরা কতো কম জানি।
  • নারীকে পুরুষের সমতূল্য করা হলে নারী তার উচ্চতর হয়ে যান। তুমি যদি ভালো ভালোভাবে ঘোড়ার জিন বাঁধতে চাও, তাহলে সবচেয়ে বাজে ঘোড়ার জিন বাঁধো; কারণ তুমি যদি একটিকে বশে আনতে পারো, তাহলে সব ঘোড়াকেই বশে আনতে পারবে।
  • হে ইশ্বর, আমি তোমার প্রার্থনা করছি, যাতে আমি ভেতর থেকে সুন্দর হতে পারি।
  • জ্ঞানের সূচনাই হলো শর্তের সংজ্ঞা।

Published in বিবিধ

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *