ভূমিকা: এক সাক্ষাৎকারে এক বই, এমন ঘটনা বাংলা ভাষা/সাহিত্যে এখন আর বিরল নয়। প্রায় এক যুগ আমি খণ্ডকালীন সাংবাদিকতা করেছি। সেই সময়ে বহু মানুষের সাক্ষাৎকার গ্রহন করেছি। আমার পছন্দের বিষয় যেহেতু শিল্প-সাহিত্য, সাক্ষাৎকার গ্রহনের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিরাও ছিলেন কবি, লেখক, শিল্পী, অভিনেতা। কখনোই কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহন করিনি। সেইসব সাক্ষাৎকার যেহেতু পত্রিকা/ম্যাগাজিনের জন্য নিয়েছি, সঙ্গত কারণেই কলেবরও খুব ছোটো ছিল এবং সেইসব সাক্ষাৎকার আমি সংগ্রহ করেও রাখিনি। এখন, এই পরিণত বয়সে এসে, এমন কোনো কাজ করতে চাই না যা খুব সহজেই কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে পারে, নিদেনপক্ষে আমার কাজগুলো গ্রন্থবদ্ধ হোক, তারপর মহাকাল যদি মুছে দেয় তো দেবে। আনোয়ার হোসেইন মঞ্জুর এই দীর্ঘ সাক্ষাৎকার গ্রহণের দুটি কারণ ছিল। প্রথমত, আমাদের দুজনের ভৌগোলিক অবস্থান খুব কাছে। চাইলে রোজই আমরা দেখা-সাক্ষাৎ…
Leave a CommentTag: সাক্ষাৎকার
অ্যাম্বরিশ কাথেওয়াড় দিওয়ানজিঅনুবাদ: আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু [ভারতের সাহিত্য ও সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র পরলোকগত খুশবন্ত সিং-এর মতে, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের সেরা মুহূর্ত এবং সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত করায় সহায়তা করা। যেভাবে তিনি বাংলাদেশ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন তা নজিরবিহীন, যখন তাঁর সব দক্ষতা একসঙ্গে জড়ো হয়েছিল। তিনি পাকিস্তানকে পুরোপুরি আহাম্মকে পরিণত করেছিলেন। শরণার্থী সমস্যা যখন চরমে পৌঁছে তখন তিনি তাঁর বিচক্ষণতার প্রমাণ দেন। পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে জেনারেল ইয়াহিয়া খান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এ অসামান্য বিজয়ে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে ‘ভারত রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। খুশবন্ত সিং ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে যেমন নিবিড়ভাবে মিশেছেন ভারতের খুব কম সংখ্যক সাংবাদিকের পক্ষে তা সম্ভব হয়েছে। অধুনালুপ্ত…
Leave a Comment