Skip to content →

নামের কাঙাল অহঙ্কারী রোমান সম্রাট কমোডাস

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

ইতিহাস অনেক কুখ্যাত শাসকের উত্থাপন ও পতন প্রত্যক্ষ করেছে, যারা তাদের ক্ষমতার নেশায় উন্মত্ত হয়ে ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার উদ্দেশ্যে জনগণের ওপর নজীরবিহীন নৃশংসতা চাপিয়ে দিয়েছিলেন। তারা অভ্যন্তরীণ ও বাইরের প্রতিপক্ষের ওপর কর্তৃত্ব বিস্তার ও তাদের বিদ্রোহের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করতে বর্বর আচরণ করে সম্ভাব্য সকল হুমকি থেকে নিজেদের অবস্থানকে নিরঙ্কুশ ও নিরাপদ করতে চেয়েছিলেন। অনেকে নিজের নামকে ইতিহাসে অমর করে রাখার বাসনায় সাম্রাজ্যের সবকিছুর নাম নিজের ও পরিবারের নামের সঙ্গে যুক্ত করেন। আধুনিক সময়ে নিরঙ্কুশ ক্ষমতাসম্পন্ন ও জননিপীড়নকারী, গণরায়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনকারী কোনো শাসককে উন্মাদ একনায়ক, স্বেচ্ছাচারী বলে চিত্রিত করা হলেও প্রাচীনকালে যে কোনো উপায়ে জনগণকে পদানত করে রাখা ও ভিন্ন রাষ্ট্রকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার সফলতার মাঝেই নিহিত ছিল শাসকের গৌরব ও স্বীকৃতি। সে জন্য প্রতিটি প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস যুদ্ধ-বিগ্রহে ভরা। তখন জনকল্যাণে ক্ষমতা প্রয়োগকারী সুশাসকের পাশাপাশি জঘন্য বর্বর শাসকও অনেক ছিল। কুখ্যাত শাসকরা ইতিহাসে রয়ে গেছেন তাদের কলঙ্কিত চরিত্রের সাক্ষ্য হয়ে। এমনি এক রোমান শাসক ছিলে লুসিয়াস এলিয়াস অরেলিয়াস কমোডাস। সাম্রাজ্য শাসনের প্রতি মনোযোগী না হয়ে ব্যক্তিগত শক্তির অহমিকা করতেন এবং সাম্রাজ্যের সবকিছুকে নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। নিজেকে ভাবতেন ইশ্বর-তূল্য শক্তির অধিকারী বলে। এমনকি বছরের বারো মাসের নাম নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছিলেন। রোম নগরীর নাম পরিবর্তন করেছিলন। তার ক্ষমতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের তিনি নির্মূল করলেও তাকে প্রতিপক্ষের হাতেই মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করতে হয়েছে এবং তার অবসানের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটেছে তার পরিবারের শাসন। 

কমোডাস ১৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯২ সালে নিহত হন। তার পুরো নাম ছিল সিজার মার্কাস অরেলিয়াস কমোডাস অ্যান্টোনিয়াস অগাস্টাস। ক্ষমতায় থাকাকালে জনগণের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়িন চালিয়ে তাদের বশে রাখেন। তিনি নিজেকে প্রচণ্ড শক্তির অধিকারী হারকিউলেস এর অবতার হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন এবং শক্তির প্রমাণ দিতে স্বয়ং কলোসিয়ামে উপস্থিত হয়ে গ্লাডিয়েটরদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতেন। সেই যুগে সাধারণ মানুষের মাঝে গ্লাডিয়েরটরদের বিপুল খ্যাতি ছিল, কিন্তু অভিজাত রোমানরা গ্লাডিয়েরটরদের যুদ্ধ উপভোগ করতেন বিনোদনের উপলক্ষ হিসেবে, যে যুদ্ধে নিম্নশ্রেণির দাস ও সৈনিকরাই শুধু অংশগ্রহণ করতো। গ্লাডিয়েটরদের সঙ্গে সম্রাট কমোডাসের প্রকাশ্যে যুদ্ধে অংশগ্রহণের ঘটনা রোমান জনগণের একটি অংশকে ক্ষুব্ধ করে। বিশেষ করে তার যুদ্ধ কখনো সমান্তরাল ও ন্যায্য ছিল না। নিজের দক্ষতা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার জন্য তিনি সাধারণত আহত গ্লাডিয়েটর ও দুর্বল হয়ে পড়া প্রাণীর সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতেন।

কমোডাসের পিতা সম্রাট মার্কাস অরেলিয়াসকে রোমানরা শ্রদ্ধা করতো। তাঁর শাসনকালকে রোমান ইতিহাসের শান্তির সোনালি যুগ।  কিন্তু একজন মহান সম্রাটের সুশাসন ও বৈশিষ্ট বজায় রাখতে না পারায় রোমানরা তার পুত্র কমোডাসকে কখনো ক্ষমা করতে পারেনি। কমোডাস সম্ভাব্য কোনো দিক থেকেই নিজেকে একজন মহান সম্রাটে রূপান্তরিত করতে পারেননি। তার শাসনকাল ছিল ব্যর্থতায় ভরা এবং তার নিজের জনগণের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা বোধ ছিল না। তার আচার আচরণ ছিল ভাঁড়ামিপূর্ণ ও হাস্যকর, যা রোমের সিনেট ও সাধারণ মানুষের বিরক্তি ও ক্ষোভ সঞ্চারের কারণ ঘটিয়েছে। পরবর্তী সময়ের রোমানরা তাকে তার দম্ভ ও অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতার জন্য স্মরণ করেছে। 

শৈশব থেকেই কমোডাস তার পিতার সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধাভিযানে যেতেন। ১৭৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাকে কনসাল নিয়োগ করা হয় এবং রোমান ইতিহাসে তিনিই সর্বকণিষ্ঠ কনসাল হওয়ার সুযোগ পান এবং একই সাথে তাকে সহ-অগাস্টাস পদে উন্নীত করা হয়; অর্থ্যাৎ তখন থেকেই তিনি সম্রাটের সঙ্গে শাসন পরিচালনার দায়িত্ব পালন শুরু করেছিলেন। এর এক বছর আগে তাকে ‘ইমপারেটর’ বা প্রধান সেনাপতি পদ দেওয়া হয়েছিল। 

১৭৫ সালে রোমান সম্রাট মার্কাস অরেলিয়াসের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে সিরিয়ার প্রশাসক অ্যাভিডিয়াস ক্যাসিয়াস নিজেকে রোমের সম্রাট বলে ঘোষণা করেন। এ পরিস্থিতিতে কমোডাস বিদ্রোহী ক্যাসিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি গ্রহণের পর্যায়েই সম্রাটের সমর্থকদের দ্বারা নিহত হন। ক্যাসিয়াসের পতনের পর আয়োজিত বিজয় উৎসবে কমোডাসকে সম্মানিত করা হয়। মার্কাস অরেলিয়াস ১৮০ সালে মৃত্যুবরণ করলে কমোডাস মাত্র ১৮ বছর বয়সে রোমের একচ্ছত্র শাসকের ক্ষমতা লাভ করেন। তার একক শাসনের সময় সামরিক অভিযান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেলেও তার শাসন কাল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল। তিনি ক্রমবর্ধমানভাবে স্বেচ্ছাচারী নেতৃত্ব খাটাতেন এবং সিনেটের সিদ্ধান্তের কোনো ধার ধারতেন না। এমনকি তিনি নিজেকে দেব-তূল্য বিবেচনা করতে শুরু করেন। সিংহাসনে আরোহন করেই তিনি রোমান মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও ওজনের পরিমাপ হ্রাস করেন। এর ফলে তার সাম্রাজ্যের আর্থিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানুষের মাঝে দুর্দশা নেমে আসে। তার স্বেচ্ছাচারমূলক শাসনে ‘একটি সোনালি সাম্রাজ্য জং ধরা ক্ষয়িষ্ণু রাজ্যে পরিণত হয়’ বলে মন্তব্য করেছেন সমসাময়িক রোমান সিনেটর ও ইতিহাসবিদ ডিয়ো ক্যাসিয়াস।
 
তাঁর পূর্ববতী রোমান সম্রাট ট্রাজান, সম্রাট হ্যাড্রিয়ান, সম্রাট অ্যান্টোনিনান পিয়াস ও তার পিতা সম্রাট মার্কাস অরেলিয়াসের মতো দক্ষতার সঙ্গে শাসন পরিচালনার প্রতি কমোডাসের তেমন আগ্রহ ছিল না। তার শাসনের দুর্বলতা রোম সাম্রাজ্যকে ষড়যন্ত্রের অবাধ ভূমিতে পরিণত করে। তাকে উৎখাত করতে যতো ষড়যন্ত্র হচ্ছিল, তিনি ততো কঠোর হয়ে উঠছিলেন। তবুও তিনি টিকে ছিলেন শুধুমাত্র সেনাবাহিনীতে তার জনপ্রিয়তার কারণে। কিন্তু সিনেট তার প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল। ১৮২ সালে তার বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করেন তার বড় বোন লুসিলা। কমোডাসের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী ক্রিসপিনাকে তিনি সহ্য করতে পারতেন না। লুসিলার প্রেমিক অ্যাপিয়াস উম্মিডিয়াস কুইন্টিঅ্যানাস সম্রাট কমোডাসকে হত্যার চেষ্টা করেন যখন কমোডাস এক নাট্যাভিনয়ে দর্শক হিসেবে অংশ নেন। সাথে লুসিলার অপর প্রেমিক মার্কাস উম্মিডিয়াস কোয়াড্রাটাস অ্যানিয়ানাসও ছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং সম্রাটের দেহরক্ষীরা তাদেরকে আটক করে। উভয় ব্যক্তিকেই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং বোন লুসিলাকে ক্যাপরিতে নির্বাসিত ও পরবর্তীতে হত্যা করা হয়। সম্রাটকে হত্যার চক্রান্তে জড়িত থাকার সন্দেহে আরও অনেককে মৃত্যুদণ্ড, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং নির্বাসিত করা হয়। পরবর্তীতে যারাই কমোডাসের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়েছে অথবা যারা বিদ্রোহের চক্রান্ত করতে পারে বলে সম্রাট ও তার সহযোগীদের সন্দেহ হয়েছে তাদেরকে প্রায় সকলকে হত্যা করা হয়েছে। খুব কম সংখ্যক অভিজাত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। কমোডাসের হাতে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর পরিবর্তে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। অনেককে সাদর আমন্ত্রণে প্রলুব্ধ করে রোমে এনে তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে এবং সম্রাটের নির্দেশে তাদেরকে যমালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
 
১৯০ সালে রোমে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। রাজপ্রাসাদের রক্ষীদলের প্রধান ও সম্রাট কমোডাসের প্রিয়ভাজন মার্কাস অরেলিয়াস ক্লিয়েনডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে উঠে খাদ্য সংকট সৃষ্টির পেছনে তার হাত রয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা মার্কাস ক্লিয়েনডারকে এক ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতা চলাকালে ঘেরাও করার চেষ্টা করলে তিনি কোনোমতে পালিয়ে কমোডাসের কাছে পৌছেন। জনতা তাকে ধাওয়া করে সেখানে যায় এবং তার মস্তক দাবি করে। কমোডাসের প্রেমিকা মার্সিয়ার চাপে কমোডাস তার প্রিয়পাত্র মার্কাস ক্লিয়েনডার ও তার পুত্রের শিরোশ্ছেদের আদেশ দেন। কমোডাসের এ সময়ে অন্যান্য শিকার ছিল জুলিয়াস জুলিয়ানাস, কমোডাসের জ্ঞাতি ভাই অ্যানিয়া ফান্ডানিয়া ফসটিনা ও তার ভাই কিউনিটাস অ্যামিলিয়াস লেটাস। ১৯১ সালে এক অগ্নিকাণ্ডে রোম নগরী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুন স্থায়ী ছিল কয়েকদিন পর্যন্ত। আগুনে প্রায় সকল রাজপ্রাসাদ ও ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনা টেম্পল অফ প্যাক্স এবং টেম্পল অফ ভেস্তাও ভস্মীভূত হয়েছিল। রোম নগরীকে পুনর্গঠনের উদ্যোগের কৃতিত্ব গ্রহণের জন্য তিনি নিজেকে ‘রমুলাস’ উপাধিতে ভূষিত করেন। রোমের নামকরণ করেন ‘কলোনিয়া লুসিয়া অ্যানিয়া কমোডিয়ানা’। বছরের বারো মাসের তার নামের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন নাম দেন: লুসিয়াস, অ্যালিয়াস, অরেলিয়াস, কমোডাস, অগাস্টাস, হেরাক্লিয়াস, রোমানুস, এক্সারপেরাটোরিয়াস, অ্যামাজ, ওনিয়াস, ইনভিকটাস, ফেলিক্স ও প্লাস। সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো নাম দাঁড়ায় ‘কমোডিয়ানাস’, আফ্রিকা থেকে শস্য আমদানির নৌবহরের নাম হয় ‘আলেক্সান্দ্রিয়া কমোডিয়ানা টোগাটা’, সিনেটের নামকরণ হয় ‘কমোডিয়ানা ফরচুনেট সিনেট’, যেদিন এই সংস্কারগুলো আনা হয় সেই দিনকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করার জন্য দিনটিকে করা হয় ‘ডাইস কমোডিয়াস’। তিনি নিজেকে সাম্রাজ্য, রোমান জীবন ও ধর্ম-  সবকিছুর উৎস হিসেবে উপস্থাপন করেন। কলোসিয়াম সংলগ্ন ‘কলোসাস নিরো’তে তিনি তার নিজের মাথার ভাস্কর্য এবং এর নিচে স্থাপন করেন ব্রোঞ্জ নির্মিত সিংহের মূর্তি, যাতে এটিকে ‘হারকিউলেস রমুনাসের’ মতো দেখা যায় এবং সেখানে লেখা হয়: ‘একমাত্র বাঁ-হাতি যোদ্ধা যিনি এক হাজার যোদ্ধার বিরুদ্ধে বারো বার বিজয় লাভ করেছেন।’

১৯২ সালের নভেম্বর মাসে কমোডাস প্লেবিয়ান ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন, যেখানে তিনি প্রতিদিন সকালে একশ’ প্রাণীকে তীর ও বর্শাবিদ্ধ করতেন এবং প্রতিদিন বিকেলে একজন গ্লাডিয়েটরের সঙ্গে লড়াই করতেন এবং প্রতিটি যুদ্ধে জয়ী হতেন। ১৯২ সালের ডিসেম্বরে তিনি ঘোষণা করেন যে সম্রাট ও গ্লাডিয়েটর হিসেবে তিনি ১৯৩ সালের ১ জানুয়ারি নতুন বছরের উদ্বোধন করবেন। এই পর্যায়ে তার প্রতি অসন্তুষ্ট অভিজাত, সিনেটর ও রাজ পরিবারের সদস্যদের একটি অংশ কমোডাসকে উৎখাত করার পরিকল্পনা করে। ৩১ ডিসেম্বর কমোডাসের প্রেমিকা মার্সিয়া অরেলিয়া সেয়োনিয়া ডেমেটিয়াস তার খাদ্যে বিষ প্রয়োগ করেন। খাবার খেয়ে সম্রাট কমোডাস বমি করে বিষ উগড়ে দেন। চক্রান্তকারীরা সম্রাটের কুস্তির সঙ্গী নার্সিসাসকে পাঠায় গোসল করার সময় তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার জন্য। তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সিনেট কমোডাসকে রোমান জনগণের শত্রু বলে ঘোষণা করে, রোমের সাবেক নাম ফিরিয়ে আনে। কমোডাসের মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়। তার মরহেদ হ্যাড্রিয়ান সৌধে কবরস্থ করা হয়। তার মত্যুর মধ্য দিয়ে ‘নারভা-অ্যান্টোনি’ রাজবংশের শাসনে অবসান ঘটে। 

Published in Uncategorized

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *