আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
করোনা মহামারীতে এখনো আমি এবং আমার স্ত্রী কামরুন নাহার মনি বেঁচে আছি বলেই আমাদের বিবাহিত জীবনের ৪০ বছর পূর্ণ হলো। ৪০ বছর আগে ২৮ এপ্রিল আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম। বিবাহিত জীবনের একচল্লিশ বছরের সূচনায় বন্ধু-শুভাকাংখী ও আত্মীয়স্বজনকে আমাদের অভিনন্দন।
গতবছরের সূচনায় করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হলে মানুষের জীবনহানির সঙ্গে মানবতারও অপমৃত্যু হয়েছিল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। কাছের মানুষটিও তেমন কান্নাকাটি করেনি। চারদিকে মৃতের সঙ্গে মানুষের যে আচরণ দেখছি তাতে আমার বিশ্বাস জন্মেছে যে, গতবছর এই সময়ে করোনার অভিশাপ নিয়ে মৃত্যু হলে আমার ক্ষেত্রে আচরণেও কোনো ব্যতিক্রম ঘটত না। সবার কামনা হতো একটাই, যতো দ্রুত সম্ভব লাশ মাটিচাপা দেওয়া হোক। করোনার সংক্রমণ জীবিতকে অস্পৃশ্য করে তুলেছিল, এবং মৃতকে অনেকটা অভিশপ্তের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। দেশে ও প্রবাসে ঘনিষ্ট ও পরিচিত অনেকেই মারা গেছেন। আমরা শোকে কাতর হয়েছি। যাদের সমবেদনা জানানো সম্ভব ছিল তাদেরকে সমবেদনা জানিয়েছি। জানাজায় সীমিত সংখ্যক লোকের উপস্থিতি স্থির করে দেয়া হয়েছিল বলে কারও জানাজায় শরীক হতে পারিনি। তবে সারাক্ষণ সক্রিয় ছিলাম এবং যেহেতু মৃত্যু অনিবার্য, অতএব মৃত্যুর আগমণে ভীত হওয়া নিরর্থক বলে হাসি-পরিহাসে নিজেকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করেছি, অন্যের মন থেকে মৃত্যু ভয় দূর করার চেষ্টা করেছি। আমরা বেশ ঘোরাঘুরিও করেছি। প্রতি সপ্তাহে শনি বা রোববার নয়-দশ জন মিলে এক একটি পার্কে গেছি। তখনো ভ্যাকসিন আসেনি।
জুন মাসে নিউইয়র্ক থেকে আমেরিকার পশ্চিম উপকূল স্যান ফ্রান্সিসকো গিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেড় মাস কাটিয়ে এসেছি। ফিরে এসে দুই সপ্তাহের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করে আবারও প্রতি সপ্তাহের পার্ক ভ্রমণ করেছি। ইতোমধ্যে সীমিত সময়ের জন্য অফিস শুরু হয়েছিল। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অফিসে যোগ দিয়ে সপ্তাহে তিন দিন করে কাজ করেছি। পেনসিলভেনিয়ার পোকোনো মাউন্টেনে পাতা ঝরার সৌন্দর্য দেখতে গেছি। শীত জেঁকে বসায় অক্টোবর থেকে আমাদের বেড়ানো বন্ধ ছিল। ইতোমধ্যে আমরা ভ্যাকসিন নেয়া সম্পন্ন করেছি। শীত শেষ হয়ে বসন্ত শুরু হওয়ায় মেয়ে আবারও ওর কাছে যাওয়ার জন্য জেদ ধরে। ওর মা একা যায়। আমি যাব না বললেও শেষ পর্যন্ত যেতে বাধ্য হই এবং দেড় সপ্তাহ কাটিয়ে আসি। করোনাকাল আমার জন্য ব্যাপক তৎপরতার সময় ছিল। প্রচুর কাজ করেছি বলে বেশ ক’টি গুরুত্বপূর্ণ বই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
এই যে আমি এখনো জীবিত আছি এই সত্যকে যদি আমার ওপর ‘আল্লাহ’র রহমত’ বলে বিবেচনা করি, তাহলে আমাকে এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে, যারা করোনার শিকার হয়ে মারা গেছে তাদের ওপর থেকে ‘আল্লাহর ছায়া’ ওঠে গিয়েছিল বা ‘আল্লাহর রহমত’ ছিল না। তাছাড়া আমার ওপর আল্লাহর পৃথক রহমত বর্ষণের যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। এর চেয়ে বরং আল্লাহর এই কথায় বিশ্বাস স্থাপন করাই উত্তম যে, “আমি তোমাদেরকে অবশ্যই পরীক্ষা করবো ভীতি, ক্ষুধা, জীবন ও সম্পদের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ তাদের জন্য, যারা ধৈর্য্যশীল,” (বাকারাহ ২:১৫৫)। আমরা সৃষ্টির ওপর অত্যাচার করি, সৃষ্টিকে ধ্বংস করি এবং এভাবে নিজেদের ওপর অত্যাচার করি বলেই আমাদেরকে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হয়ে।
গৌতম বুদ্ধও প্রায় একই কথা বলেছেন, “জীবন দু:খপূর্ণ। দু:খ থেকে কারো নিস্তার নেই। জন্ম, জরা, রোগ, মৃত্যু সবই দু:খজনক। দু:খের মূল হচ্ছে, মানুষের কামনা-বাসনা। মাঝে মাঝে সুখ আসে, তাও দু:খ মিশ্রিত এবং ক্ষণস্থায়ী। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেই। কামনা-বাসনা থেকে মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই শেষ পর্যন্ত অজ্ঞানতার অবসান ঘটে। এতেই পূর্ণ শান্তি অর্জিত হয়।” করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একবছরে যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার পরকালীন শান্তি এবং অসুস্থদের নিরাময় কামনা করছি।
Having checked out a handful of your blog posts, I genuinely like your blogging technique. Added to my bookmarks, and I’ll revisit shortly. Visit my website and tell me what you think.
Upon examining several blog posts on your site, I really admire your blogging technique. It’s in my bookmarked list now, and I’ll be checking back soon. Visit my website and share your opinions.
Really enjoyed this post – it was full of useful insights. Thanks for sharing, and please, keep writing!
Reading more. Looking forward to read more. Great blog. Really.
Just wanted to say I really like how you approach these topics. Your posts are always a highlight in my reading list!
Great blog. Read more. Really looking forward to reading more.
Really enjoyed this post – it was full of useful insights. Thanks for sharing, and please, keep writing!
This blog is such a treasure trove of information. Really enjoyed your latest post. More, please!
Po depiliacijos vašku Klaipėdoje mano oda atrodo nepriekaištingai. Profesionalus aptarnavimas ir nuostabus rezultatas, labai patenkinta! Registruokis dabar.
wWtnIjBXiEzG
Po rankų ir pažastų depiliacijos vašku mano oda tapo švelni ir be plaukelių. Labai patiko aptarnavimas ir profesionalus požiūris į klientą. Registruokis dabar.
Depiliacija rankų ir pažastų vašku Klaipėdoje buvo puiki patirtis. Oda tapo švelni ir lygi, o rezultatai ilgalaikiai. Tikrai verta išbandyti! Registruokis dabar.
Super-Duper site! I am loving it!! Will come back again. I am bookmarking your feeds also
I am constantly searching online for tips that can help me. Thanks!
Hello! Do you know if they make any plugins to assist with SEO? I’m trying to get my blog to rank for some targeted keywords but I’m not seeing very good gains. If you know of any please share. Appreciate it!
I really delighted to find this website on bing, just what I was looking for : D besides saved to bookmarks.
Heya i am for the first time here. I came across this board and I in finding It truly helpful & it helped me out a lot. I hope to provide something back and aid others like you helped me.
Valuable info. Fortunate me I discovered your web site by accident, and I am shocked why this twist of fate didn’t took place earlier! I bookmarked it.